গোমস্তাপুর (চাঁপাইনবাবগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুরে ভাঙ্গাড়ীর দোকানে ফেন্সিডিলের বোতলের অভাব নেই। পথশিশু, টোকাই ,প্লাস্টিকের বোতল কুড়িয়ে নিয়ে বিক্রি করে ভাঙারির দোকানে। খুচরা ভাঙ্গাড়ী ব্যবসায়ীরা সেগুলো বিক্রি করে বড় ফ্যাক্টরিতে। ভাঙ্গারি ফ্যাক্টরিতে বোতলের লেভেল খুলে সেগুলো রিসাইক্লিং করা হয়। তারপরে এগুলো পরিষ্কার করে তৈরি করা হয় প্লাস্টিক তৈরির কাঁচামাল। রহনপুরের কোন কোন স্থানে ভাঙ্গারির দোকান গুলোতে গেলেই চোখে পড়বে নিষিদ্ধ ফেন্সিডিলের শত শত খালি প্লাস্টিকের বোতল।
এদিকে ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী আব্দুল জব্বার এর সাথে কথা বলে জানা যায়,এক সপ্তাহে প্রায় দুইশ আড়াইশো ফেন্সিডিলের খালী প্লাস্টিক বোতল বিক্রি করেন। টোকাইরা এগুলো বিভিন্ন অলিগলি নর্দমা, ড্রেন ,জঙ্গল ও মানুষের যাতায়াত কম এমন জায়গা থেকে কুড়িয়ে এনে ভাঙ্গাড়ী ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে।এই প্লাস্টিকের বোতল গুলো ছোট ছোট করে কেটে ঢাকার বিভিন্ন জায়গা গাজীপুর, বগুড়া পাঠানো হয়। বোতল গুলো ৪টাকা কেজি দরে ক্রয় করা হয়। তিনি আরো বলেন ভাঙ্গারির দোকানে এগুলো ফেন্সিডিলের বোতল ক্রয় করা আইনি কোনো বাধা নেই। তাই এগুলো ক্রয় করলে আশেপাশের পরিবেশ ঠিক থাকবে।কারণ এগুলো রাস্তাঘাটে পড়ে থাকলে পরিবেশ দূষিত হয়।
অপরদিকে প্রশাসনের কড়া নজরদারির মধ্যেও মাদকসেবীরা ফেন্সিডিল খেয়ে খালি বোতল যত্রতত্র ফেলে পরিবেশ দূষিত করছে। তাদের ফেলে দেওয়া বোতলই অন্যান্য বোতলের সঙ্গে সংগ্রহ করে টোকাইরা বিক্রি করে।
আরো একজন ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী মোহাম্মদ জলিল এর সাথে কথা বলে জানা যায়,এগুলো কেউ তাঁর কাছে বিক্রি করতে আসলে তিনি নেন না। মাদকসেবীরা এগুলো পান করে ডাস্টবিন কিংবা বিভিন্ন জায়গায় ফেলে রাখে। ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী তিনি না নিলেও বড় দোকানে এসে লোকেরা বিক্রি করে।তিনি আরো বলেন এগুলো কম দাম এবং জায়গা বেশি দখল করে সে ক্ষেত্রে আমার লস হয়,তাই আমি নিতে রাজি হয় না।আর এগুলো তো রহনপুরে অভাব নেই যেখানে সেখানে যততত্র পড়ে থাকে। একদিন একটি দোকানে গড়ে প্রতিদিন ২০০/২৫০ কেজি করে টোকাইরা ফেন্সিডিলের বোতল বিক্রি করে থাকে। তাহলে এক সপ্তাহে ১৪০০/১৭৫০ কেজি করে গড়ে দাড়ায়।এদিকে রহনপুর সচেতন মহলের দাবি, রহনপুর অঞ্চল অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিক থেকে অনেক অগ্রগামী। এখানে সব রকমের লোকের সমাগম লক্ষ্য করা যায়।তাই এই স্থানকে মাদকসেবীরা বেছে নিয়ে মাদকসেবীদের বিভিন্ন জায়গায় প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি করে থাকে।তাই প্রশাসনের আরো কঠোর নজরদারির দাবি জানান সচেতনত মহল।