শিবগঞ্জ(চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩টি ক্লাসরুম টেন্ডার ছাড়াই বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। সেসাথে বিক্রিত ঘরের টাকাও আতœসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।বিক্রির পর ঘর ৩টি পল্লী ক্লিনিক হিসেবে ব্যবহার করছেন ক্লিনিকটির মালিক।
ঘটনাটি জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার ২১৯ নং চরপাঁকা মধ্যপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মোঃ শামসুল হক কে এ ঘটনার জন্য দায়ী করে এর তদন্ত সাপেক্ষে দায়ী ব্যাক্তির শাস্তি দাবী করে বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ করেছেন একই এলাকার মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের পাঁকা ইউনিয়নের সভাপতি আল আমিন জুয়েল।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি ২১৯ নং চরপাঁকা মধ্যপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি একটি ভবন বরাদ্দ পাওয়ায় স্কুল চত্তরের পুরাতন একটি ৩ ক্লাশরুম বিশিষ্ট টিনসেড ঘর কোন নিয়ম না মেনে গোপনে টেন্ডার ছাড়াই ৯০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন প্রধান শিক্ষক এবং সে টাকা তিনি আত্মসাত করেন।
এ ব্যাপারে অভিযোগকারী জুয়েল জানান, প্রধান শিক্ষক এলাকায় কাউকে না জানিয়ে গোপনে বিদ্যালয়ের ঘরগুলো বিক্রি করে সে টাকা আতœসাত করেছে।তিনি আরও জানান, বিক্রিকৃত ঘরটিতে অন্তত ২০ বান্ডিল টিন ছিল যার বাজার মূল্য লক্ষাধিক টাকার উপরে।বর্তমানে বিদ্যালয়টির ঐ তিনটি ঘর পল্লী ক্লিনিক হিসেবে ব্যবহার করছেন ক্লিনিকটির মালিক।
অন্যদিকে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের দাবী তিনি টেন্ডার ছাড়া কমিটির অনুমোদন নিয়ে ৪০ হাজার টাকায় একটি পায়খানার নষ্ট টিন বিক্রি করেছেন।
এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার চৌধুরি রওশন ইসলাম জানান,তিনি অভিযোগ পাবার পর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।তদন্ত সাপেক্ষে কেউ দোষী প্রমানিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।