আজ শুক্রবার সকাল ৭টার সময় শিবগঞ্জের ছত্রাজিতপুর কুমার টোলা এলাকার মোসাঃ বুড়ি (৪৫), পিতা মৃত সেকান্দর আলীর, ঘরে নাঈমুল হক মিনু মেম্বার, ডাকনাম পুকপুকি(৬২), লাশ পাওয়া গেছে। মৃত নাঈমুল হক মিনু মেম্বার ছত্রাজিতপুর নারায়ণপুর এলাকার মৃত মহিরুদ্দিন মন্ডলের ছেলে।
ঘটনার সূত্রে জানা যায়, মৃত নাঈমুল হক মিনু মেম্বারের বর্তমানে এক স্ত্রী ও তার দুই ছেলে দুই মেয়ে আছে। বড় ছেলে সোহেল রানা সেনাবাহিনীতে চাকরিরত, দ্বিতীয় ছেলে জুয়েল রানা বর্তমান স্নাতক ডিগ্রি ক্লাসের ছাত্র, দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। এরপরেও মৃত মিনু মেম্বার প্রায় ৮-৯ বছর আগে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে একই এলাকার কুমারটোলা গ্রামের মৃত সেকান্দার আলীর মেয়ে মোসাঃ বুড়ি বেগমকে বিয়ে করেন। বুড়ি বেগমের প্রথম স্বামীর একটি নয়ন নামে বিশ বছরের ছেলে আছে। গত ৪ বছর আগে বর্তমান ১নং ওয়ার্ড মেম্বার জামাল উদ্দিনের উপস্থিতিতে উভয়ের মাঝে (ডিভোর্স) ছাড়াছাড়ি হয়। ছাড়াছাড়ির পরেও তাদের প্রেম ভালোবাসার বা অবৈধ সম্পর্কের কোন ঘটনা ছিল কিনা? এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে চেয়ারম্যান শামসুল হক কিছুই বলতে পারেনি। উল্লেখ্য যে, ১৯৮৪ সালে ছত্রাজিতপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার ছিল মৃত নাঈমুল হক মিনু। কিন্তু পরবর্তীতে পাঁচবার ইউপি ইলেকশনের ভোট করেও সে একবারও পাশ করেনি। মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন ছত্রাজিতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামসুল হক। ঘটনাটি শিবগঞ্জ থানাকে অবহিত করা হলে এই রির্পোট লিখার সময় পুলিশ সেখানে অবস্থান করছিল।