মানবাধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন দেশের সংসদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে উল্লেখ করে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে মানবাধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও সুরক্ষায় সংসদীয় কূটনীতির মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি করা সম্ভব।
সার্বিয়ার বেলগ্রেডে ১৪১তম আইপিইউ সম্মেলনে ‘স্ট্র্যানদেনিং ইন্টারন্যাশনাল ’ল : পার্লামেন্টারি রোলস অ্যান্ড মেকানিজম অ্যান্ড দ্যা কন্ট্রিবিউশান অব রিজিওনাল কো-অপারেশন’ শীর্ষক জেনারেল ডিবেটে এসব কথা বলেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়েছে, সম্মেলনের ওই পর্বে ইন্টার পার্রামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ) প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েলা চুয়েভাস ব্যারন, সেক্রেটারি মার্টিন চুংগং ও সার্বিয়া পার্লামেন্টের স্পিকার মাজা গজকোভিচ বক্তব্য রাখেন।
এ সময় স্পিকার বলেন, গণতন্ত্রকে অধিকতর কার্যকর করতে মানবাধিকার, মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করাসহ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই। বাংলাদেশ পার্লামেন্ট এ লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। সমতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ কার্যকর ভূমিকা রাখছে, যেখানে থাকবে না দারিদ্রতা কিংবা শোষণ।
এদিকে সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সদস্য আবদুস সালাম মূর্শেদী সম্মেলনের ‘দ্য রোল অব পার্লামেন্টেরিয়ানস ইন এনহ্যান্সিং ন্যাশনাল ইমপ্লিমেন্টেশন অব দ্যা কেমিক্যাল উইপন্স কনভেনশন’ শীর্ষক সেশনে বক্তব্য রাখেন।
স্পিকারের সঙ্গে বৈঠক : বেলগ্রেডে আইপিইউ’র ভেন্যু সাভা সেন্টারে সার্বিয়ার পার্লামেন্টের স্পিকার মিজ মাজা গজকোভিচ এবং স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে তাঁরা সংসদীয় চর্চা, সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ, সংসদীয় ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা, টেকসই উন্নয়ন (এসডিজি), জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নসহ দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
বৈঠকে সার্বিয়ার স্পিকার বলেন, নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে বিশ্বে বাংলাদেশ অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এই অভিজ্ঞতা সকলে কাজে লাগাতে পারে। পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশ ও সার্বিয়র বিদ্যমান সম্পর্ক আরো সুদূঢ় হতে পারে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ সময় ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন এখন দৃশ্যমান। নারীর ক্ষমতায়নের ফলে তৃণমূলে উন্নয়ন সেবা সহজেই পৌঁছে যাচ্ছে। এতে ধারাবাহিকভাবে জিডিপি ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করাও সম্ভব হয়েছে। সংসদীয় চর্চা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক আরো শক্তিশালী হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।