রফিকুল ইসলামঃ
দেশের উত্তর জনপদের সিমান্তবর্তী জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার প্রত্যান্ত অঞ্চলের মনাকষা ইউপির সীমান্ত এলাকা গুলোতে অবাধে চলছে বিভিন্ন ধরনের মাদকের রমরমা ব্যবসা, সাহাপাড়া, মুন্সিপাড়াসহ আরো কয়েকটি সীমান্ত এলাকায় এখন এই ব্যবসা জমজমাট ভাবে চলছে বলে সিমান্ত এলাকায় প্রায় এক মাস সরেজমিন ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে ।
এলাকায় সরেজমিন ঘোরার সময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার শতাধীক ব্যক্তি এই প্রতিবেদককে জানান, জেলার সিমান্তবর্তী উপজেলা হচ্ছে শিবগঞ্জ। শিবগঞ্জের মধ্যে বিশেষ করে মনাকষা ইউপির সীমান্ত এলাকা দিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় সোর্স নাম লাগিয়ে তারা নিজেরাই রাতের আধারে বিভিন্ন ধরনের মাদক পাচারে লেগে পড়ে। আর মাদক পাচারের সময় প্রশাসনের টহলদলকে বিভিন্ন স্থানের দোকানে বসিয়ে রাখে। বিশেষ করে সাহাপাড়া বাজারের আবুল কালাম আজাদ (চৌধুরীর মিষ্টির দোকানে) বসিয়ে চোরাকারবারিরা মিষ্টি খাওয়াতে থাকে আর তার ফাঁকে মাদক আনা হয় সীমান্ত পার করে। তারপর দোকানে ফিরে এসে টহলদলকে বলা হয় স্যার চলেন আজ আর কোন মাল পার হবে না। আপনাদের খবর সব জেনে গেছে। এই ভাবেই প্রতিদিন দেশে আসছে লক্ষ লক্ষ টাকার মাদক।
আর এইভাবে যারা মাদক আনছে তাদের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য ব্যক্তিরা হচ্ছে,
আবুল কালাম আজাদ চৌধুরী(মিষ্টির দোকানদার), সিংনগর বিওপির পাশের ভাদুর ছেলে শরিফ,
মনোহরপুরের আকালুর ছেলে বারিকুল, একই গ্রামের এজাবুলের ছেলে সেলিম, তারাপুর মুন্সীপাড়ার নজরুলের দুই ছেলে রহিম ও করিম, একরামের ছেলে জামাল, তারাপুরের সাইদুলের ছেলে কালু, সিদ্দীকের ছেলে তোহরুল, মোড়ল পাড়ার ফাজুর ছেলে মিজানুর, মোন্নাপাড়ার মুক্তার ছেলে মারুফ, সাহাপাড়া বটতলার মোজাম্মেলের ছেলে আলম,সাহাপাড়ার ইসারুলের ছেলে হাবিব, মনাকষা বিওপির পাশের সফি হলদারের ছেলে রাজ্জাক, তারাপুর সোনাপাড়ার ইসরাঈল মহরিলের ছেলে মানিক, তারাপুর ছঘরিয়ার মনির, লুৎফলের ছেলে মাজরুল, মকবুলের ছেলে কাসিম, ইসমাঈলের ছেলে রশিদ, আজাহারের ছেলে ফটিক, ডাল্লুর ছেলে মাসুদ, মুন্তিজুলের ছেলে রুবেল, নাসিরের ছেলে রুবেল ও মিষ্টার, শরিফের ছেলে রাজিব দোকান্দার, সৈবুরের ছেলে জাকির, রাফিকুল ( বর্তমানে ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশেরই নাগরিক), শ্যামপুরে ইলিয়াশের ছেলে রিয়াজ, কুদ্দুসের ছেলে দুরুল, ফাজিলের ছেলে রাইসুদ্দীন, বৈরাগীপাড়ার কালুর ছেলে জহরুল, সাহাপাড়ার ভাদুর ছেলে সরিফ, মোন্নাপাড়ার নুরুল ইসলাম পুটুর ছেলে মারুফ ও বাবলু, তাজমুলের ছেলে রহিম, ইসাহাকের ছেলে সাত্তার, মতির ছেলে মানিক, মফিজুল হক গুধার ছেলে মাজরুল ও জহরুল, হাকিমের ছেলে গাজলু ও কালাম, সাত্তার মুলভীর ছেলে মামুন, মজিবুরের ছেলে রবিউল, মোড়লপাড়ার লতিবের ছেলে সেরাজুল, মান্নানের ছেলে আসাদুল, উজিরের ছেলে লুধা, এজাবুলের ছেলে রবিউল মিষ্টির দোকান্দার, মুন্সীপাড়ার তৈমুরের ছেলে মুন্জুর ও হাবিবুর, মুন্জুরের ছেলে রিপন, সোহরাবের ছেলে ডেরাম, মুন্তাজের ছেলে মজিবুর গুধা, হায়াতের ছেলে ডাক্কু ও আজিজুল, আজিজুলের ছেলে ওহিদুল ও শহিদুল, নৈমুদ্দীনের ছেলে জাহাঙ্গীর ও নাসির, সোহরাবের ছেলে ডালিম, মকবুলের ছেলে দবির, মোজাফ্ফরের ছেলে বাবু, একই এলাকার মুন্টু, বুদ্ধু, আলতাবের ছেলে সেরাজুল, কুদ্দুসের ছেলে মোতাহার, রুস্তমের ছেলে মাহিদুল, সাইদুলের ছেলে বাবু, কুড়ানের ছেলে তরিকুল, কামাতপাড়ার জন্জালীর ছেলে জিয়ারুল, দাউদের ছেলে তোহরুল, বনপাড়ার মর্তুজার ছেলে সেলিম, শ্যামপুর পাইকোড়তলা মোড়ের নুরেশ চোরের ছেলে রেহেসান, তারাপুর মোন্নাপাড়ার ওদুদের ছেলে হারুন, নুরেশের ছেলে বাবু, মোড়ল পাড়ার মোস্তফা খলিফার ছেলে বাবু ও রকিবসহ সীমান্ত এলাকার আরো অনেকে প্রশাসনের সাথে সোর্স হিসেবে থেকে রমরমাভাবে মাদকের ব্যবসা করে যাচ্ছে।
উল্লেখ্যঃ সাহাপাড়ার মোজামিলের ছেলে আলম, ইসারুলের ছেলে হাবিব ও মুুুুন্সীপাড়ার সোহরাবের ছেলে ডালিমসহ আরো কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তিরা এই এলাকার সকল ধরনের চোরাচালানের নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন। চলবে………।